বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক ভোরের সকাল।।
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা গ্রামে অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারন শেষে প্রাপককে জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৯০নং লক্ষীপাশা মৌজার এসএ ৪৬০ নম্বর খতিয়ানের ২৬১নম্বর দাগের ০.০৬একর অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষীপাশা গ্রামের বাসিন্দা ব্যারিস্টার দেদার এলাহী গত ৬ জুন নড়াইলের জেলা প্রশাসক বরাবর ওই অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারনের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নড়াইলের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর গালিব মাহমুদ পাশা গত ২৫জুলাই লোহাগড়া উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো( সংযুক্তিতে কর্মরত) কে সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারনপূর্বক আবেদনকারীকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন৷ বৃহস্পতিবার সকালে কানুনগো তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ প্রশাসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ওই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশীদের সাথে ব্যারিস্টার দেদার এলাহীর বিরোধ চলছিলো। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের চলাচলের জন্য প্রশাসন, গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে রাস্তার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে সংখ্যালঘুরা ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা সৈয়দ আব্দুস সবুর, পৌর শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ নজরুল মোল্যা, লোহাগড়া উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক মোঃ আকতার হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ, মসিয়ার রহমান সান্টু, এনামুল কবির চন্দন। এছাড়াও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ আশরাফুল আলম, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম সরু, মোঃ জিল্লুর রহমান সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিকালে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।